বাগেরহাটের মোংলায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে শত্রুতার জের ধরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে মো. শাহীন (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহীন মোংলা বন্দরে জাহাজের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। সে ছাড়াবাড়ি এলাকার মো. একরামুল হকের ছেলে।
শাহিনের বড় বোন খাদিজা বেগম বলেন, আমার ভাই দেড় বছর আগে মারুফের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী নাদিরাকে বিয়ে করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় আমার ভাইকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল মারুফ। সেই বিরোধের জেরে আমার ভাইকে মারুফ খুন করেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
মোংলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল জানান, মারুফ (৩৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর সাথে শাহীনের এক সময় বন্ধুত্ব ছিল। মারুফের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী নাদিরাকে শাহীন বিয়ে করলে তাদের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়। এই ঘটনার জের ধরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ঘাতক মারুফ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মো. আব্দুর রশিদের ছেলে। সেও মোংলা পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকেন। ঘাতক মারুফকে ধরতে অভিযানে নেমেছে মোংলা থানা পুলিশ। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
মোংলা উপজেলা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগে পথেই শাহীনের মৃত্যু হয়েছে। শাহিনের পেটে বড় ধরনের ইনজুরি থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মারা গেছেন।