সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপার্টির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এপ্রিলের শুরু থেকে শুরু হওয়া রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাহিনীটির গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ‘রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপারাটির সদস্যরা সক্রিয় হয়। ডিএমপি কমিশনার মহোদয় নির্দেশ দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমরা বিশেষ প্রোগ্রাম(অভিযান) শুরু করতে যাচ্ছি।’
গত কয়েক মাস ধরেই রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারীর তৎপরতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে বিভেদে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ভোরে মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় আলোচিত দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। বুলবুলের কাছে যে টাকা ছিল, সেগুলো নিয়ে যেতে না পারলেও ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এই ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বুলবুলকে ছুরি মারার পরেই ঘটনাস্থলে অটোরিকশা ও বাস চলে আসার পর আক্রমণকারীরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বুলবুল হত্যায় এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর শাখা। বাহিনীটি জানায়, ছিনতাইয়ে উদ্দেশ্যে পাঁচজন জড়ো হয়ে বুলবুল আহমেদের সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারা টাকা দিতে চাইলে বাধা দেন বুলবুল। সে সময় তারা তার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করর।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই চিকিৎসক বুলবুলের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আর মানুষকে নানা কৌশলে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে নিয়মিত। গত কয়েক মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ভুক্তভোগী বহুজনকে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও আছে।
এমনকি সেই হাসপাতালেও অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে প্রায়ই।