অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৩ এপ্রিল ঠিক করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটির চার্জ গঠন শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন আসামি সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য বিচারক চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল ঠিক করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে চার্জ গঠন হয়নি। আদালত তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখ ঠিক করেছেন।’
গত ২২ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আদালতে সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জ গঠন করে বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করে আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।