Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শনিবার, মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

টিপ পরা নারীকে হেনস্তার কথা স্বীকার করেছেন নাজমুল : ডিবি তেজগাঁও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০৪:০৬ PM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০৪:০৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


টিপ পরায় হেনস্তার ঘটনায় আটক পুলিশ সদস্য নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এতে নাজমুল হেনস্তার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান আছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা তুলে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

ডিসি বিপ্লব বলেন, রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার অভিযোগে তিনি শুধু একজন পুলিশ সদস্যের কথা বলেছিলেন। এ ছাড়া অন্য কোনো পরিচয় নিশ্চিত করেননি। ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক আমরা গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগ তদন্ত শুরু করি। সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ও অ্যানালগ সব পর্যায়ে তদন্ত করে কনস্টেবল নাজমুলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তার মোটরসাইকেল নম্বর ধরেও নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নাজমুল কনস্টেবল হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত। শনাক্তের পরে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। এখন টিপ পরা বা ইভটিজিং সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করবো। আমাদের প্রাথমিক কাজ ছিল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা। যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবি, ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণ ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।

তার বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ কি? জানতে চাইলে উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সব জায়গায় ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি। এইক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, কলেজে হেঁটে যাওয়ার সময় পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি। এতে তিনি আহত হন। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Bootstrap Image Preview