Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

টিপ নিয়ে হেনস্তার শিকার ড. লতা সমাদ্দার এখন স্বস্তিতে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:০৬ AM
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:০৬ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


‘অভিযোগ দেওয়ার পর শুরু থেকেই পুলিশের তৎপরতায় আমি আশাবাদী ছিলাম। তাকে হেনস্তাকারী পুলিশের সেই সদস্য চিহ্নিত হওয়ায় এখন স্বস্তিবোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি পুলিশের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম এবং দেশেরে মানুষের কাছে।’  কথাগুলো বলছিলেন ড. লতা সমাদ্দার। ঢাকার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের এই শিক্ষিকা গত শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তির বাজে আচরণের শিকার হয়েছিলেন।

ওইদিন ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে গেলে পুলিশের পোশাক পরা মধ্যবয়সী এক লোক তার কপালের টিপ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ জানালে ‘টিপ পরসিছ কেন’ বলে ওই শিক্ষিকাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তার উপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে প্রাণনাশেরও চেষ্টা চালানো হয়। ওইদিনই তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় ঘটনা জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

এমন ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। চলতে থাকে প্রতিবাদ। ঘটনার দুই দিন পর সোমবার পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তিকে শনাক্তের পর পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘শিক্ষিকার সঙ্গে বাজে আচরণ করা ব্যক্তি কনস্টেবল নাজমুল তারেক। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত এই কনস্টেবলকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত এবং বহিষ্কারের খবর পেয়েছেন ঘটনার শিকার ড. লতা সমাদ্দারও। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এখন তার শাস্তি হলে আরও বেশি স্বস্তি পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের ওই সদস্য যা করেছেন, তা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর হামলা, তার সঙ্গে যা হয়েছে তা যৌন হেনস্তা। দায়িত্বশীল বাহিনীর পোশাক পরে তো নয়ই, অন্য কেউ যাতে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে, এজন্য প্রতিবাদটা তিনি করতে চেয়েছেন। এই প্রতিবাদে দেশবাসী তার সঙ্গে ছিলেন। গণমাধ্যম যথাযথভাবে ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরেছে। এটা বড় স্বস্তির।’

শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল নিজ বাহিনীর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, ‘ঘটনার দিন সকালে স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গায়ে পা লাগা নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক নারী পথচারীর ঝগড়া হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতা সমাদ্দার বলেন, ‘পুলিশ সদস্য তাকে গালাগাল করার সময়ে, টিপ পরা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময়ে তিনি কঠোর প্রতিবাদ করেছেন। আশপাশের লোকজন তা পাশ থেকে দেখেছেন। একপর্যায়ে পুলিশের ওই সদস্য নিজের মোটরসাইকেলে একা চলে যেতে চাইলে তিনি সেটি টেনে ধরলে পুলিশ সদস্য পড়ে যান। তখন তো তার স্ত্রী বা কোনো নারীকে সেখানে দেখিনি। ঘটনা ঘটিয়ে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।’

ড. লতা আরও বলেন, ‘অধিকতর তদন্ত করুক পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখুক। সত্যতা বেরিয়ে আসবে তখন।’

Bootstrap Image Preview