বরিশাল নগরীর রূপাতলী গোল চত্বর এলাকার আবাসিক হোটেল স্বাধীন পার্ক থেকে রুবেল খন্দকার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে নিহতের স্ত্রী বিথি আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে রূপাতলী থেকে রুবেল খন্দকারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং দুই সন্তানের জনক।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যাকারীকে শনাক্তে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ওই সময়ে হোটেলে অবস্থানকারী ও আসা-যাওয়া করা চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হোটেলের ম্যানেজারকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওসি লোকমান হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ১০৮ নম্বর কক্ষের বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়ে। তাছাড়া মাছ ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিখিত অভিযোগ করেছেন তার স্বামীকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে। এজন্য অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তে মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রূপাতলীর এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই হোটেলে আমি হাতমুখ ধুতে যাই। গিয়ে দেখি মাছ ব্যবসায়ী রুবেল এবং ম্যানেজার ইউনুস এক ছেলেকে ধরে রেখেছেন। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, হোটেলে থাকা এক তরুণীর দুই হাজার টাকা নিয়ে গেছে ওই ছেলে। আমি হাতমুখ ধুয়ে বের হওয়ার পরে দেখি মাছ ব্যবসায়ী রুবেল ও সেই তরুণী এক রুমে বসে আলাপ করছে। ধরে রাখা ছেলেটির একটি সাইকেল ছিল।
ম্যানেজার সেই সাইকেল আটকে রাখার জন্য আমাকে দুই তলায় সাইকেলটি তুলে দিতে বলেন। আমি তুলে দিয়ে নিচে নামি। তখন ছেলেটিকেও ছেড়ে দেন ম্যানেজার। জানতে পারি ওই তরুণীর টাকা চুরি করার চেষ্টায় একজন নয়, দুইজন ছেলে ছিল। সন্ধ্যায় জানতে পারি রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, হোটেলটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড হতো।
নিহত রুবেলের স্ত্রী বিথি জানান, রুবেলের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ বা বড় কোনো রোগ ছিল না। দুপুরেও আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ খবর দেওয়া হয় তিনি মারা গেছেন। এটি কিছুতেই স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এটি হত্যাকাণ্ড।