গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে কোটালীপাড়া থানার ওসি জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন। ওই ছাত্রী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার শশিকর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার ওই ছাত্রীর বাবা কোটালীপড়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ বিকেলে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার শশিকর গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পীরারবাড়ী গ্রামে মামা খোকন বাড়ৈর বাড়ীতে নামকীর্ত্তন গান শোনার জন্য আসছিলো। সে তার মামা বাড়ীতে না যাওয়ায় পরিবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে সে ৩০ মার্চ গোপাল বাড়ৈর বাড়ী থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রেখা বালার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। রেখা বালার মাধ্যমে তার মেয়েকে ফেরত পান বাবা।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ২৬ মার্চ মামা খোকন বাড়ৈর বাড়ীতে যাওয়ার পথে পীড়ারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কোটালীপাড়া উপজেলার পলোটানা গ্রামের কালু বাড়ৈয়ের ছেলে গোপাল বাড়ৈ (৩০), খোকন বাড়ৈর ছেলে আটল বাড়ৈ (২২), রামানন্দ বৈদ্যের ছেলে তাপস বৈদ্য (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের নারায়ণ বালার ছেলে বরুন বালা (২৩) জোরপূর্বক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে গোপাল বাড়ৈয়ের বাড়ীতে ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষন করা হয় বলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা ওই ছাত্রীকে অপহরন করে গনধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সব কিছু জানা যাবে।