ঘুমন্ত সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ইকোনো পরিবহনের একটি বাসের ভেতর ঘুমন্ত সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাস থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা, কী কারণে লিটনকে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসচালক মো. নাহিদকে আটক করা হয়েছে।

নিহত লিটন সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক বাসচালক নাহিদ রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের শাহরিয়ার আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চেয়ারকোচ ইকোনো (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-০১০৩) বাস রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর আসে। যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রাখা হয়। তখন গাড়িতে নতুন একজন হেলপার, সুপারভাইজার লিটন, পুরনো স্টাফ শিপন ও চালক নাহিদ ছিলেন। এ সময় লিটন ও নতুন হেলপারকে বাসে রেখে নাহিদ ও শিপন বাসায় চলে যায়। পরে তারা বাসেই ঘুমিয়ে পড়ে। সাহরির সময় রাত ৪টার দিকে এসে গাড়ির ভেতর লিটনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় নাহিদ।

পরে তিনি স্থানীয় লাইনম্যান মো. সেলিমকে জানান। সেলিমের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে নতুন হেলপার পলাতক। তার পরিচয় জানাতে পারেনি কেউই।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, লিটনকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িচালককে আটক করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেব।