মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শুধু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই স্কুলশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।
রোববার (১০ এপ্রিল) সময় সংবাদকে এ কথা জানান ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, মামলার এজাহারে মিথ্যা তথ্য যুক্ত করায় জামিন পেতে দেরি হয়েছে।
অজয় চক্রবর্তী জানান, যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা অতিরঞ্জিত। তা ছাড়া প্রথম দিনেই শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ছাড়া পেয়ে যেতেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, এ জন্য তাকে দ্রুত রেসকিউ করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি মামলা রুজু করে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আদালতে তোলা হয়।
গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করা ও ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৮ মার্চ ও ৪ এপ্রিল তার জামিন আবেদন করা হলেও আদালত নাকচ করেন। এরপর থেকেই গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। এরপরও হৃদয় মণ্ডলকে ১৯ দিন কারাগারে থাকতে হয়। রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে কারামুক্ত হন মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ের গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল।
হৃদয় মণ্ডল প্রায় ২১ বছর ধরে বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয় পড়ান। পরিবার নিয়ে স্কুলের পাশে একটি কোয়ার্টারে থাকেন।