মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে যে গুম খুনের সংখ্যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের তথ্যে বিভ্রাট রয়েছে। তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তার অনুসন্ধান করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকে নিজেই নিখোঁজ থেকে গুমের অভিযোগ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, কাউকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হয়নি। এ সময় বিচার বিভাগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিচার বিভাগ সব সময় স্বাধীন। এখানে রাজনৈতিক হয়রানির কোনো সুযোগ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রায় সব অভিযোগই আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি। অনেকগুলিই হয়তো আত্মগোপন করে গুম বলে চালিয়ে দিয়েছে। আপনারা কয়েকদিন আগেই দেখেছেন, এক লোক আড়াই বছর বা তারও বেশি সময় পর এসে বলছে, তিনি ইছে করেই গুম হয়ে ছিলেন। তাই নানা কারণেই গুম হয়ে থাকে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অনেককে উদ্ধার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে মানবাধিকার রিপোর্ট বেরিয়েছে, তাতে কিছু বিভ্রাট আছে। তথ্যগত কিছু গোলযোগ আছে।
নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে বলে মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এটা হতো। পেছনের কথা যদি তারা বলে, এটা আমার জানা নেই। যখন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায়-অত্যাচার নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ করলে সে কিন্তু আইনের মুখোমুখি হয়। আমি সেটাই বারবার স্পষ্ট করে বলছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গুম-খুনের কথা যেগুলো বলছেন, এগুলো প্রায়ই অনুসন্ধান করে আমরা দেখেছি। তারা অনেকেই হয়তো আত্মগোপন করে গুম বলে চালিয়ে দিয়েছে। হয়তো ব্যবসায়ে লস করে নিজেই কোথাও চলে গেছেন। এই কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন, এক লোক আড়াই বছর পর বলেছে ইচ্ছা করেই গুম হয়েছিল, পরিবারের অশান্তির কারণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অনেককেই খুঁজে বের করে দিয়েছে। আমি এখনো জোর গলায় বলতে পারি, যে রিপোর্টটা বের হয়েছে তাতে তথ্যের গরমিল রয়েছে।’