এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার দায়ে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপি নেতা মঞ্জুর আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু জানিয়েছেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার সুযোগে ওই পরিষদে যাওয়া এক বেসরকারি সংস্থার নারী কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল মঞ্জুর আলম। তাকে বিয়ে করার জন্য ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে বিয়ের ফর্দনামাও করেছিলেন এই জনপ্রতিনিধি।
এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই এনজিও কর্মী। তাকে ফুসলিয়ে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করান মঞ্জুর আলম। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের কাবিনামার কথা বলে ওই নারীকে উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে মঞ্জুর আলমের বাসায় এনে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ভিকটিম উখিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
দীর্ঘ দিন পলাতক থেকে ইউপি সদস্য মঞ্জুর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতে তাকে জামিন না দিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আজ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় মঞ্জুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে উখিয়া থানা পুলিশ।