Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

হকারদের থেকে পুরোনো জামা কিনে অনলাইনে নতুন দেখিয়ে বিক্রি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৩৫ PM
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোশাক বেচাকেনার পেজ খুলে বর্ণিল চকচকে নতুন সব শাড়ি-থ্রিপিসের বিজ্ঞাপন দেয় একটি প্রতারক চক্র। অন্যান্য পেজের তুলনায় দামও সেখানে অনেকটা কম। তা দেখে অর্ডার করার পর ঠিক সময়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারিও পেয়ে যান ক্রেতা। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই চকচকে নতুন পোশাকের বদলে বেরিয়ে আসে পুরোনো ও ছেঁড়া পোশাক।

কোথাও ভুল হয়েছে ভেবে পেজের নম্বরে ফোন করলেই উল্টো মিলে বাজে ব্যবহার। ফলে নতুন পোশাকের এই রকম বিজ্ঞাপন দেখে টাকা দিয়ে পুরোনো পোশাক পেয়ে এভাবে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

আর অনলাইনে বিভিন্ন পেজ খুলে বেশ কিছুদিন ধরে এমন প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। চক্রটির পাঁচ সদস্যকে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

গ্রেপ্তার হয়েছেন মো. বাপ্পি হাসান, মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল, মো. সোহাগ হোসেন, মো. বিপ্লব শেখ ও নুর মোহাম্মদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নিম্নমানের পুরোনো ও ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয় ১৭৭টি সিম কার্ড।

সোমবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরোনো, ব্যবহৃত জামা কাপড় সংগ্রহ করত। আমরা অনেক সময় নিজেদের পুরোনো জামা হকারদের কাছে বিক্রি করি। চক্রের সদস্যরা হকারদের কাছ থেকে এই পুরোনো কাপড়গুলো সংগ্রহ করে। এরপর তারা অনলাইনে পেজ খুলে বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন নতুন পোশাকের ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করে তা নিজেদের পেজে পোস্ট দেয়।

‘বেশিসংখ্যক ক্রেতা টানতে তারা তাদের পোশাকের মূল্য অন্যান্য পেজ থেকে কম দেয়। অর্ডার পেলে তারা একটি পুরোনো পোশাক প্যাকেট করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। পরে ক্রেতা পণ্য নিয়ে অভিযোগ জানাতে ফোন করলে উল্টো তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। এভাবে প্রতিদিন চক্রটি বহু ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিত। কিছুদিন পর পর তারা নতুন নামে পেজ খুলত ও নতুন নতুন নম্বর ব্যবহার করে অর্ডার নিত। এভাবেই কয়েক মাস ধরে চক্রটি প্রতারণা করে আসছে,’ যোগ করেন রাজীব আল মাসুদ।

এই চক্রের সঙ্গে এস এ পরিবহন নামের একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কিছু অসাধু কর্মচারীরও যোগসাজশ রয়েছে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এস এ পরিবহনের মাধ্যমে চক্রটি অধিকাংশ পণ্য পাঠাত। ক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মিত প্রতারণার অভিযোগ আসতে থাকায় কুরিয়ারের কিছু কর্মচারী বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পরবর্তীতে প্রতারণার কাজ চালিয়ে যায় চক্রটি। ইতোমধ্যেই এস এ পরিবহনের ওই কর্মচারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

Bootstrap Image Preview