Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘সত্য প্রকাশ’ করায় সাংবাদিকদের পেটাচ্ছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০২:৩৫ PM
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০২:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে আসা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের পেটাচ্ছেন নিউমার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের কর্মচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ নিয়ে সত্য তথ্য প্রকাশ করছেন না সাংবাদিকেরা।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ বাধে। দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল রাতে বিপুল পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা যায়নি। দুপুরের পর পুলিশের দুটি গাড়ি ওই এলাকায় আসতে দেখা গেছে।

সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক মিরপুর রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে।

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ সাংবাদিক। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক।

আহতরা হলেন দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ জামান সুমিত ও প্রতিষ্ঠানটির একজন ক্যামেরাপারসন ইমরান লিপু। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন শাহেদ শফিক নিজেও।

সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নীলক্ষেত অংশে অবস্থান নেন তারা। সেখানে ব্যবসায়ীরা দল বেধে দাঁড়িয়েছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহেদ শফিক জানান, ‘নিউ মার্কেটের সামনে যে ফুটওভার ব্রিজ আছে তার নিচে দীপ্তি টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসনকে লোহার রড দিয়ে মারছিল। তখন তাদের মাথা থেকে অঝরে রক্ত ঝরছিল।’

এই দৃশ্য দেখে সহকর্মীদের বাঁচাতে ছুটে যান শাহেদ। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন হকার্স যারা তাদের মারছিল, তাদেরকে আমি থামানোর চেষ্টা করি। তখন আমাকেও পেছন থেকে পেটানো হয়েছে।’

সেখানে থেকে কোনোমতে দীপ্ত টিভির দুই সহকর্মীকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে আসেন তারা। পরে আহত দুই সাংবাদিককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আতিকা রহমান জানিয়েছেন, আরটিভির ক্যামেরাপারসন সুমন দে, মাইটিভির রিপোর্টার ড্যানি দ্রং, এসএ টিভির রিপোর্টার তাইফুর রহমান তুহিন, ক্যামেরাপারসন কবির হোসেনও সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের আক্রমণে আহত হয়েছেন।

সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার বুলবুল রেজা জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার সংবাদে সরাসরি সম্প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সংবাদ প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। সাংবাদিক বুলবুল তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যা দেখছেন তাই দর্শকের উদ্দেশে তুলে ধরছেন।

কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যবসায়ীরা বুলবুল রেজার গায়ে হাত তোলেন এবং মারধর করেন। এ সময় আহত হন সময় টিভির দায়িত্বরত ক্যামেরাপারসন রুবেল হোসেন। তখন ব্যাকপ্যাক নামে পরিচিত সরাসরি সম্প্রচারের ডিভাইসটি ছিনিয়ে নেন তারা।

অবশ্য ব্যবসায়ীদের অন্য আরেকটি অংশ পরে ব্যাকপ্যাকটি ফিরিয়ে দেন বলেও জানিয়েছেন বুলবুল রেজা।

Bootstrap Image Preview