জামিনে কারামুক্তির পর ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন হাইকোর্টে আবেদন করে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিটের পক্ষভুক্ত হয়েছেন।
আদালত আদেশে বলেছে, এখন থেকে এই রিটে শামীমা নাসরিন ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়। আদালতে শামীমা নাসরিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, ‘ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিটে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেছিলেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এই মামলা যখন হয় তখন তিনি বিবাদী ছিলেন না। কোম্পানিতে যে ৫০ ভাগ শেয়ার ছিল তার মধ্যে ২০ ভাগ শেয়ার তিনি মা এবং বোনের স্বামীর নামে হস্তান্তর করেছেন বলে আবেদনে জানান।
তিনি আরো বলেন‘তাকে যেন এই মামলার বিবাদী হিসেবে গণ্য করা হয়, সে জন্য করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত শামীমা নাসরিনকে ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন।’
গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করে।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
টাকা নিয়ে সঠিক সময়ে পণ্য না দেয়ার অভিযোগ এনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন এক গ্রাহক।
সে মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। তাদের একাধিকবার রিমান্ডেও নেয়া হয়। তার পর থেকেই কারাগারে ছিলেন শামীমা নাসরিন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জামিনে মুক্ত হয়েছেন শামীমা।