মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের নিজ কার্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার নয়াচর এলাকার চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের ভেতর থেকে রোববার সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) চাইলাউ মারমা।
মাদারীপুর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের বরাতে চাইলাউ মারমা বলেন, সকাল ৮টার দিকে খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের ভেতরে বাথরুমের সামনে একটি লোহার এঙ্গেলের সঙ্গে কামরুল ইসলামের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন অফিসের স্টাফরা। পরে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কোনো ঝামেলা নাকি অফিস সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল, এসব বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনও কামরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মাদারীপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম দেড় মাস আগে চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরআগে রাজৈর উপজেলা খাদ্য অফিসে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
‘তিনি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের খালাসিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খালাসির ছেলে। তার তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। কোনো কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা আমরা জানি না।’