Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শনিবার, মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিলেটে চাল-ডালসহ নিত্যপণ্য বেশি দামেও মিলছে না

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২২, ১২:০৫ AM
আপডেট: ২০ জুন ২০২২, ১২:০৫ AM

bdmorning Image Preview


টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে দোকানপাট তলিয়ে যাওয়ায় সিলেটে নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দামেও মিলছে না চাল-ডালসহ নিত্যপণ্য। এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে মোমবাতি ও দেশলাই সংকট। বন্যার পানিতে বহু দোকান তলিয়ে যাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যার কারণে বেশির ভাগ দোকান খুলছেন না। এ ছাড়া অনেক দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দোকানে দোকানে ঘুরেও নিত্যপণ্য কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। 

এদিকে এসব কারণে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। ৩৮ টাকা হালি ডিমের দাম বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। ২০ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অন্যদিকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় দেখা দিয়েছে মোমবাতি ও দেশলাইয়ের সংকট। 

শহরের মদিনা মার্কেটের পরাগ স্টোরের মালিক শিমুল রঞ্জন ধর বলেন, ‘বৃষ্টি ও বন্যার কারণে গতকাল সকালে দোকান খুলিনি। দুপুরে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলে দোকান খোলামাত্র ক্রেতারা লাইন দিয়ে পণ্য ক্রয় করা শুরু করেন।’ 

আরেক দোকানি রাজু আহমেদ বলেন, যিনি আগে দুটি মোমবাতি কিনতেন, তিনি দুই প্যাকেট কিনছেন। যার দরকার এক কেজি আলু, তিনি ১০ কেজি কিনছেন। ফলে নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। 

নগরীর মদীনা মার্কেট এলাকার সিএনজি অটোরিকশাচালক সুমন মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে মদিনা মার্কেট থেকে বাগবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫টি দোকানে খুঁজে মোমবাতি, মুড়ি, আলু ও সয়াবিন তেল পাইনি। 

নগরীর সুবিদবাজার এলাকার মো. রাসেল মিয়া বলেন, শনিবার বিদ্যুৎ যাওয়ার পর থেকে মোমবাতি ও দেশলাইয়ের চাহিদা বেড়েছে। বেশির ভাগ মানুষই চার-পাঁচ প্যাকেট করে মোমবাতি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। 

এদিকে বন্যার কারণে সবজি বাজারেও অস্বস্থি দেখা দিয়েছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার খুচরা বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, সবজির পাইকারি হাট টুকেরবাজার ও সুবহানীঘাট সবজির আড়ত পানিতে তলিয়ে গেছে, যার ফলে সবজি সংকট চলছে এবং দামও বেশি। 

এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, ‘বন্যায় সিলেটের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কালীঘাট ও কাজীরবাজার পানির নিচে চলে গেছে। পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীদেরও প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে, তাই পণ্য সরবরাহ কম। এতে নিত্যপণ্যের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ক্রেতারাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পণ্য কিনছেন। বাজারে সংকটের এটাও একটা কারণ। তবে আমরা বাজর মনিটরিং করছি। আশা করছি এই সংকট থাকবে না।’ 

Bootstrap Image Preview