পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছোটবেলায় ঈদের চাঁদ উঠলে যে আনন্দ হতো, আজ তার চেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে।’শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সমাবেশস্থলে গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।এ সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি।
তিনি বলেন, এটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা। এর মাধ্যমে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, তারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল। এ সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হয়নি।এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছোট বেলায় ঈদের আনন্দ যেমনটা হতো, আজ আমার অনুভূতি ঠিক সেই রকম। তার চেয়েও বেশি। সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের মানুষ আজ উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা এক সময় পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তারা আজ লজ্জিত। যারা একটা সময় পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছিল, তারাও কিন্তু আজ উল্লাসিত।শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ‘মাথা নোয়াবার নয়’ থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ মোট সাড়ে তিন হাজারের মতো অতিথি।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মান কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।