Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অবস্থান, আত্মহত্যার হুমকি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ১১:২২ PM
আপডেট: ২৭ জুন ২০২২, ১১:২২ PM

bdmorning Image Preview


১২ বছরের স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে অবস্থান করছেন এক গৃহবধূ। স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাটগোপালপুর গ্রামে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ও দুটি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় একটি কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় দক্ষিণ ছাটগোপালপুর গ্রামের জহির উদ্দিন বানিয়ার ছেলে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

এদিকে গত ১৮ জুন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আতিকুল ওই গৃহবধূকে নিয়ে ঢাকার সাভারে যান। সেখানে একটি বাসা ভাড়া নেন। পরে বাসার মালিকের সহায়তায় স্থানীয় কাজিকে দিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। 

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২১ জুন আতিকুলের স্বজনরা সাভার যান। সেখান থেকে দুজনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝাড় এলাকায় নামেন তারা। কৌশলে আতিকুলকে আবার একটি নৈশকোচে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন তারা। 

আর ওই গৃহবধূর বিভিন্ন কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কামরুজ্জামানের বাড়িতে তাকে রেখে চলে যান তারা। 

বিষয়টি সমাধানের জন্য আতিকুল ইসলামের অভিভাবকদের বলা হলেও তারা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের কথা শোনেননি।  

এরপর গত ২৫ জুন আতিকুলের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেছি। আতিকুলের সঙ্গেই সংসার করব। আতিকুল স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার।

এ বিষয়ে আতিকুল ইসলামের বাবা জহির উদ্দিন বানিয়া জানান, তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মেয়ে জোর করে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। 

তবে গৃহবধূর আগের স্বামী বলেছেন, তার স্ত্রী ভুল করেছেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। সে ফিরে আসলে তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন।

তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জানান, উভয় পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম; কিন্তু ছেলেপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview