পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলে সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত পটুয়াখালীর বায়েজিদ তালহা মৃধা। ইতোমধ্যে তাকে সিআইডি পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে। তবে বায়েজিদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চলছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
বায়েজিদের গত দিনের রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে তোলা কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে। যেখানে দেখা যায় তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
তবে আলোচনার তুঙ্গে থাকা বায়েজিদের দায়দায়িত্ব নিতে চাইছে না কোনো দলই। উল্টো এক দল অন্য দলের কর্মী হিসেবে গছিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। এ নিয়ে পটুয়াখালীসহ জনমনে একটাই প্রশ্ন, বায়েজিদ তাহলে কোন দলের অনুসারী— ছাত্রদল নাকি ছাত্রলীগ?
এদিকে বায়েজিদ পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাট-বল্টু খোলায় অনুতপ্ত পরিবার ও স্থানীয়রা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বায়েজিদের মেজ ভাবি হাদিসা আক্তার ও ছোট চাচি ফরিদা বেগম বলেন, বায়েজিদ মানুষ হিসেবে ভালো। ও বাড়িতে আসলে নিকট আত্মীয় ছাড়া তেমন কারও সঙ্গে মিশত না। যেহেতু একটি কাজ খারাপ করেছে, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ক্ষমা চাই। ওকে যেন ক্ষমা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ও আর এ ভুল করবে না।
সদর উপজেলার তেলিখালী এলাকার বিজয় বলেন, বায়েজিদ খুব ভালো একটি ছেলে ও সহজ-সরল রাজনৈতিক তেমন কোনো পরিচয় নেই। বায়েজিদ ঢাকায় থাকে। ওর টিকটিক করার স্বভাব রয়েছে। তারা তিন ভাই বর্তমানে সবাই ভালো পজিশনে আছে এবং ভালো চাকরি করে।
সদরের লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, বায়েজিদের পরিবার একটি ধার্মিক পরিবার। বায়েজিদ বা তার পরিবার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের নির্মাণশ্রমিক মো. আলাউদ্দিন মৃধা ও পিয়ারা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বায়েজিদ তালহা মৃধা ছোট। বড় ছেলে সিপন মৃধা খুলনা কাস্টমস রেভিনিউ অফিসার ও মেজ ছেলে সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন।