Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দরজা খুলতেই নববধূর মাথায় দায়ের কোপ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ১০:০০ AM
আপডেট: ৩০ জুন ২০২২, ১০:০০ AM

bdmorning Image Preview


মাদকাসক্ত প্রতিবেশী যুবকের দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন এক নববধূ। শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত দিতি বেগম (১৮) ওই এলাকার মুছা মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে রাহেলা বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।

পরে হত্যাকারী রুহুল আমিন পুলিশের নিকট নিজেই ধরা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘাতক রুহুল আমিন (২৫) একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি একজন মাদকাসক্ত এবং আটক অপর নারী রুহুল আমিনের ভাবী বলে জানা যায়।
  
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী শহরের কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির বিয়ে হয় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর দিতিকে পিতার বাড়ি কালিনগর রেখে স্বামী খাইরুল পেশাগত কাজে কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। এদিকে, দিতির প্রতিবেশী মাদকাসক্ত যুবক রুহুল আমিন তার ভাবী রাহেলাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিতিদের বাড়িতে যান। এসময় রাহেলার ডাকে দিতি ঘরের দরজা খোলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মাদকাসক্ত রহুল আমিন দা নিয়ে দিতির মাথায় সজোরে কোপ দিয়ে পালিয়ে যান। এতে দিতি গুরুতর আহত হন। পরে তার মা মনোয়ারা বেগমের চিৎকারে বাড়ির অন্যান্যরা দৌড়ে এসে দিতিকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দিতিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা এলাকায় দিতি মারা যান।  

স্থানীয়দের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় রুহুল আমিনের ভাবী রাহেলা বেগমকে আটক করে হত্যাকারী রুহুল আমিনকে খুঁজতে থাকে। পুলিশের নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন এবং নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে ধরা দেন।  

নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে হত্যাকারী রুহুল আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

Bootstrap Image Preview