অন্য কোনো মাধ্যমে আসন্ন ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে বা যৌক্তিক কারণে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালকদের বাধা দেবে না পুলিশ। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মোটরসাইকেল চালককে তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি মুভমেন্ট পাস দেবে পুলিশ। এ পাস দেখিয়ে ওই মোটরসাইকেল চালক নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।
দুর্ঘটনা রোধে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এটি একদিকে যেমন বাইকচালকদের মন খারাপের কারণ হয়েছে তেমনি আবার অনিশ্চয়তায় ফেলেছে অনেকেরই বাড়ি ফেরাকে।
হঠাৎ মহাসড়কে বাইক নিষেধ করায় এ নিয়ে সমালোচনার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে পুলিশ প্রশাসন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করে একমত হয়েছেন যে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা কঠিন। এতে জনরোষ তৈরি হবে। সবকিছু বিবেচনায় বাইকারদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
গত মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ অপরাধসভায় এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। আলোচনায় তারা একমত হন যে, এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই বাড়ি যেতে পারবেন না, কারণ নিজের মোটরসাইকেল আছে সেজন্য তিনি কোনো গণপরিবহনের টিকিট কাটেননি। ফলে তার ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। এমনটা হলে তাদের অধিকার হনন করা হবে। সবকিছু বিবেচনায় এদিন সিদ্ধান্ত হয় মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
এর আগে গত ৩ জুলাই মহাসড়কে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বাইক চলাচল সাত দিনের জন্য নিষেধ করার কথা জানানো হয়। ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়। সিদ্ধান্তটি বাইকারদের তীব্রভাবে অসন্তুষ্ট করে। তারা রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
করোনার মহামারির সময় যেভাবে চলাচলের জন্য মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচল করা গেছে একইভাবে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা নিজে এবং পরিবার নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবেন। তবে কোনো রাইড শেয়ার করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাইক চালকদের চলাচলের বিষয়গুলো সবদিক বিবেচনা করে আমরা দেখেছি। যারা যৌক্তিক কারণ দেখাবেন তাদের তো বাধা দেয়া যায় না।’
উদাহরণ টেনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ধরেন একজন তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাবেন, সঙ্গে তার পরিবার নিয়ে যাবেন। এটতো তার যৌক্তিক কারণ। এমনটা হলে আমরা তাকে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে দেব। তবে মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো রাইড শেয়ার করা যাবে না। শুধু নিজে ও পরিবারকে সঙ্গে নিতে পারবে। এজন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার মুভমেন্ট পাসের নমুনা তৈরি করছে।’
পাস নেয়া যাবে যেভাবে
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বাইকাররা তাদের যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ট্রাফিকের ডিসি বা জেলার এসপি বরাবর আবেদন করবেন। সেখান থেকে তাদের কারণ বিবেচনায় পাস দেয়া হবে। তা দিয়ে তারা ভ্রমণ করতে পারবেন।