মাগুরায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তার ছুটিতে মাগুরার গ্রামের বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওদিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিও আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, লাবণী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩০তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।
লাবনী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম জানান, ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবণী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গ্রামের বাড়িতে এসে সে শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গ দিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ছিল। বুধবার গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সকালে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবণীর কলহ চলে আসছিল। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সেজন্যই হয়তো আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মাগুরা মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকের ছাদে এই ঘটনা ঘটে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি থেকে ফিরে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। নিহতের নাম মাহামুদুল হাসান (২৩)। তার বাড়ি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায়। নিহত ব্যক্তি দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরা আসেন।