অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নানার বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। লাবণীর বাবা শফিকুল আজমের ধারণা, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার মেয়ে অত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
লাবণীর মরদেহ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার তার বাবা এই ধারণার কথা জানান।
এর আগে বুধবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে এডিসি লাবণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শফিকুল জানান, ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবণী গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে যান। সেখানে বুধবার রাতে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
‘স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে লাবণী অত্মহত্যা করে থাকতে পারে’, যোগ করেন শফিকুল আজম।
লাবণীর শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর শহরে। তার স্বামী তারেক আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। ১০ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
হেলাল উদ্দিন নামে লাবণীর এক নিকট আত্মীয় জানান, তারেক অব্দুল্লাহ চিকিৎসার জন্য এখন ভারতে রয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় মাগুরা পুলিশ লাইনস ব্যারাকের ছাদ থেকে, যিনি এক সময় লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এডিসির মরদেহ উদ্ধার ও কনস্টেবলের আত্মহত্যার মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।