Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আমাদের জামাই পালিয়ে যাননি, অল্প সময়ের মধ্যে মেয়েকে ইতালি নিয়ে যাবে’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৪ PM
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইতালিয়ান যুবক আলী সান্দ্রে চিয়ারোমিন্তে ও বাংলাদেশি মেয়ে রত্না রানী দাস। প্রেমকে প্রণয়ে রূপ দিয়ে রত্নার নিজ বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গীতে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। বিয়ের এক মাস পর রত্নাকে রেখে ইতালিয়ান যুবকের চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কথা রটেছে। 

কেউ বলছেন রত্নাকে রেখে উধাও হয়েছেন ইতালিয়ান যুবক। আবার আর কেউ বলছেন অর্থের লোভে তার পরিবার ইতালিয়ান যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ রত্মা ও তার পরিবার। 

রত্না রানী দাসের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোকোপাড়া গ্রামে। তার বাবা দিনমজুর মারকুস দাস।

গত ২৫ জুলাই ভালোবাসার টানে নিজ দেশ ইতালি থেকে এসে আলী সান্দ্রে চিয়ারোমিন্তে (৩৯) সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী রত্না রানী দাসের (১৯) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

রত্নার চাচা সমবারু বলেন, আমাদের জামাই পালিয়ে যাননি। অনেকে এটি ভুল প্রচার করছেন। আমাদের সঙ্গে ও রত্নার সঙ্গে জামাইয়ের যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে আমরা কথা বলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেয়েকে ইতালি নিয়ে যাবেন জামাই। 

চাড়োল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরাও সেই ইতালিয়ান যুবকের নামে নানা ধরনের কথা শুনেছি। সেই ছেলের বউ ও বাচ্চা আছে। এখান থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়গুলো শুনার পর আমি তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে বলেন- তাদের জামাইয়ের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। তারা খুব দ্রুত মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের কথা অনুযায়ী বলা যায়- যা শোনা যাচ্ছে তার কোনো সত্যতা নেই। 

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা এখানে আছি আর ছেলে ইতালিতে তাই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আর মেয়েটির চাচা জোসেফ সেই যুবকের সঙ্গে কাজ করেন। আর তার চাচা নিজে দেশে এসে তাদের বিয়ে দেন। একজন চাচা তার আপন ভাতিজিকে কখনো বিপদে ফেলবে না বলে আমরা মনে করছি। আরও কিছু দিন গেলে আসল বিষয়টি পরিষ্কার হবে। 

চাড়োল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার চ্যাটার্জি বলেন, আমরা শুনেছি সেই ইতালিয়ান যুবক চলে গেছেন। তারপর নানা জনে নানা মন্তব্য করছে। আমি মেয়েটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।  তিনি বলেছেন- মেয়েটির ইতালি যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর তার জামাইয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। 

Bootstrap Image Preview