ঢাকার ধামরাইয়ে চুরি করতে গিয়ে এক নারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাইজুদিন (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটক সাইজুদ্দিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রামের পাচু খাঁর ছেলে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে বালিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ওই নারী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তার ঘরের সিঁধ কেটে প্রবেশ করে সাইজুদ্দিনসহ আরো তিন চোর। এ সময় তারা ওই নারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় ঘরে থাকা এক লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় তারা। পরে সাইজুদ্দিন তাকে ধর্ষণ করে মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। সকালে প্রতিবেশীরা তার ঘরে সিঁধকাটা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনিত হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জ্ঞান ফিরলে একই গ্রামের সাইজুদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বজনদের জানান তিনি। তবে অন্যদের চিনতে পারেননি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী সাইজুদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। চুরি করতে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করে সাইজুদ্দিন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) মো. বদিউজ্জামান জানান, সাইজুদ্দিন একাই ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া তার সাথে আরো তিনজন ছিল বলে জানিয়েছে।