Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শনিবার, মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে ওসি নিজাম উদ্দিনের তল্লাশি, আদালতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:০৩ PM
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:০৩ PM

bdmorning Image Preview


ফেনী কারাগারে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কক্ষে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিনের তল্লাশি চালানোর ঘটনায় তদন্ত করে বাবুল আক্তারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কারা সুপারকে নির্দেশ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।  

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তারের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছি। এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। আদালত ১৯ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে আদেশ দেবেন। 

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বাবুল আক্তার। এরপর থেকে আসামিরা মারমুখী হয়ে ওঠে। আসামিদের নির্দেশে ও প্ররোচনায় ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জেল কোডের কোনো তোয়াক্কা না করেই ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে। এরপর বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় তল্লাশির নামে জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালায়। 

কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসি টিভির ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আবেদনে বলা হয়েছে, জেল কোড অনুসরণ না করেই বন্দির কক্ষ তল্লাশির নামে জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় এ যাত্রায় সফল না হলেও আসামিরা যেকোনো সময় বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের জীবননাশসহ যেকোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাবুল আক্তার। 

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনোভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং  আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। অথচ আইন-আদালত ও প্রচলিত নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসামিদের বশে নিয়ে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী বাবুল আক্তারের কক্ষ তল্লাশির নামে  জীবনের ক্ষতি সাধনের ও তাকে মানসিকভাব দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছেন। যা জেল কোড অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে 'কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে ওসির তল্লাশি!' পত্রিকায় প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।  

এই অবস্থায় ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কারাগারে প্রবেশ করে আটক বাবুল আক্তারের জীবনের ক্ষতি করার ও তাকে ভীতসন্ত্রস্ত করার চেষ্টার ঘটনার তদন্তপূর্বক অভিযোগকারীর (বাবুল আক্তারের) জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের সুপারকে নির্দেশ দেওয়া জন্য আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অন্যথায় বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের জীবননাশসহ অপূরণীয় ক্ষতি ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।   

গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে পিবিআই হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার।

Bootstrap Image Preview