ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত রফিকুল ইসলাম নয়নের দলীয় পদ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা ছাত্রদল তাকে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে দাবি করছে।
তবে উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত কমিটির পৃথক প্যাডে দুই নম্বর সহসভাপতি হিসেবে একটিতে নয়ন মিয়া ও একটিতে মসুদ মিয়া লেখা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম নয়ন এলাকায় মূলত নয়ন হিসেবে পরিচিত।
তিনি ছাত্রদল কর্মী। তবে পরিবারের সঙ্গে তিনি বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন। দলীয় কর্মসূচি থাকায় তিনি এলাকায় আসেন।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্যাডে ১৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দিতে দেখা যায়। এর একটিতে নয়ন মিয়া নামে একজন দুই নম্বর সহসভাপতি। আরেকটিতে মুরাদ হোসেন দুই নম্বর সহসভাপতি। তবে বাকি সবার নাম ও পদবি পৃথক প্যাডে একই আছে।
জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল জানান, নয়ন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। পুলিশের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। স্থানীয়ভাবে কমিটি করতে গিয়ে অনেক সময় ডাক নাম দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম নয়ন মারা যান। এ সময় থানার ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফলে প্রচারণা চালানোর সময় এ সংঘর্ষ হয়।