চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে দুই ইয়াবা কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নাজমা নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন ও তাদের সহযোগিরা ওই মাদক কারবারিদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে ফাঁড়িতে হামলা এবং সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মো. হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুইজনকে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে নগরের কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান। এর কিছুক্ষণ পরই সেখানে হামলা চালিয়ে হানিফ ও দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন ও তাদের সহযোগীরা। এ সময় তারা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ফাঁড়ির সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে।
আরো জানা যায়, পুলিশের সঙ্গে হানিফ বাহিনীর সংঘর্ষ হলে হানিফের বোন নাজমা গুলিবিদ্ধ হন। পরে তার মৃত্যু হয়। এসময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের বাসিন্দা হানিফ নগরের মোহরার ৯ নম্বর ও ৮ নম্বর রেললাইন কেন্দ্রিক মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে। তার এই কাজে হিজড়া নামধারী একটি বাহিনী রয়েছে।
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মঈনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে আসা নাজমার অন্য সহযোগিরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। তবে কীভাবে নাজমার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।
চট্টপ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান জানান, পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং মাদক কারবারিদের সহযোগীরা গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। তখন পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
ছিনিয়ে নেওয়া মাদক বিক্রেতা এবং ফাঁড়িতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।